Truck swap: কয়লা লুটের নতুন ফর্মুলা, সরকারি খনি থেকে গাড়ির নাম্বার বদল করে কয়লা লুটের গল্প ফাঁস, ট্রাক বদলের অভিযোগ । সরকারি কয়লা খনি থেকে অবৈধ কয়লা উত্তোলন আসানসোলের নিত্য দিনের চিত্র। কিন্তু এবার ধরা পড়ল সরকারি খনি তে অবৈধ ভাবে কয়লার ব্যবসার ছবি। কয়লা লুটের চেষ্টা। তাও আবার সরকারি কর্মীদের সামনে ডাম্পারের নম্বর বদল করে চলছিল কয়লার ব্যবসার পরিবহন।
প্রসঙ্গত, কয়লা পরিবহনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে খালি ডাম্পার এ খনির কয়লা লোড করা হয়। সে সময় আধিকারিক গাড়ির নম্বর নোট করেন। তারপর লোড করা কয়লাগাড়ি ওজন হয়। এর পর গাড়ির নম্বর দিয়ে চালান দেওয়া হয়। তারপর গাড়ি নির্দিষ্ট জায়গায় যায়। এই প্রক্রিয়ার মাঝেই চলছিল গাড়ি বদলের কারবার। গাড়ির নম্বরের ওপর লাগানো ছিল অন্য নাম্বার লেখা স্টিকার।
Truck swap , Number plate duplicate? কয়লা লুটের নতুন ফর্মুলা ফাঁস
কলিয়ারীর শ্রমিক এবং নেতার অভিযোগ, কলিয়ারী থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় যাবার পথে গাড়ি বদল হয়ে যায়। কলিয়ারী থেকে উচ্চ মানের কয়লা লোড করে ডাম্পার চলে যায় অন্য কোথাও আর ওই এক ই নম্বরের অন্য গাড়ি যেখানে কয়লার ভুসি মাটি মেশানো কয়লা চলে যায় উক্ত জায়গায়। গাড়ির নম্বর এক ই থাকার কারণে কোনো সন্দেহ হয় না। কিন্তু শনিবারের ঘটনা চোখ খুলে দিল অনেকের ই।
প্রশ্ন তুলে দিল দুর্নীতি তে যুক্ত কারা ? শনিবার হটাৎ ই ইস্টার্ন কলফিল্ড লিমিটেডের শ্রীপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার হটাৎ ই হানা দেন ই সি এল এর সাতগ্রাম কোল স্টক এ। এবং সরাসরি 7 টি গাড়ি ধরেন যে গুলোর নাম্বার প্লেটের ওপর স্টিকার দিয়ে অন্য নাম্বার লেখা ছিল। তারপর পুলিশ কে খবর দেন। গাড়ি গুলিকে আটক করেছে পুলিশ।
দেখুন কি ভাবে হচ্ছে নাম্বার বদল
Proposed Name Of Deputy Mayor & MMIC, প্রস্তাবিত লিস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে
পড়ুন: কারা জড়িত ? বলছেন ই সি এল কর্মী তথা নেতা
সব কটি গাড়ি মিলিয়ে প্রায় 140 টন কয়লা ছিল যার আনুমানিক মূল্য 21 লক্ষ টাকা। প্রশ্ন উঠেছে, কয়লাখনিতে যখন গাড়ি লোড হয় তখন কি কারোর চোখে পড়েনি ডুপ্লিকেট নম্বর? কয়লা যখন ওজন করা হচ্ছিল তখনো কেউ বুঝতে পারেনি এই ঘটনা ? খাতায় তাহলে গাড়ির কোন নম্বর লেখা হয়েছিল ? কোন ব্যবসায়ী এই ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ? তার বিরুদ্ধে এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি কেন ? যদিও আমাদের গোপন ক্যামেরায় তৃণমূল নেতা তথা খনির শ্রমিক জানান…যুক্ত আছে সবাই। রাজ্য পুলিশ, সি আই এস এফ, খনি কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী সবাই। তবে শ্রীপুর এরিয়ার জি এম এর এ হেন পদক্ষেপ এ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খনি মহলে।

