Vairal tapan…সংসার চালাতে মুখ ই ভরসা..অবাক ভিডিও
ভিডিও দেখুন 👇
ভাইরাল এর দুনিয়ায় হাসি ই বড় কথা। কখনো বাপী লাহিড়ী ভাইরাল তো কখনো রানু মন্ডল। আবার কখনো কাঁচা বাদামের ভুবন বাদ্যকর।
পড়ুন.. জীবন যুদ্ধে ভাইরাল তপন
কিন্তু ভাইরাল এর দুনিয়ায় অনেক মানুষের অনেক প্রতিভাই প্রকাশ পেয়েছে। এমন ই এক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে বাস স্ট্যান্ডে।
শীতের ভোর বা গরমের দুপুর। বিক্রেতা কিন্তু ভাইরাল হওয়ার জন্য এ কাজ করেন না। করেন সংসার চালানোর জন্য।
গোটা শরীরে ঝুলছে বিভিন্ন প্রোডাক্ট। এক নাগাড়ে বলে যাচ্ছেন কি কি আছে তার কাছে। কিছু না হলেও 40 থেকে 45 রকমের আইটেম বিক্রি করেন তিনি।
শুনুন …কি বলছেন তিনি
শুধু তাই নয়…বিক্রির উদ্দেশ্যে যা বলেন তা শুনলেই বোঝা যাবে কত টা বাস্তব। শোনেও লোকে। হয়ত কেউ কিছু না কিনেই শুধু শোনেন। তবু একটু আধটু বিক্রি হয় বই কি। তা দিয়ে সংসার চলে বটে তবু তা সচ্ছল নয়। তবে বিক্রেতার কথায়..চাওয়া পাওয়া তো কিছু নেই। লড়াই চলছে।
হ্যা.. এই কথাতেই চলছে সংসার। কোনোমতে। আবার মুখ দিয়ে করেন এক অদ্ভুত শব্দ। তার ও কারন রয়েছে। ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
পড়ুন…কেন চিৎকার করছেন তিনি
বিক্রেতার পরিষ্কার বক্তব্য… সব সময় মানুষ ব্যস্ত মোবাইল এ। তাই সেখান থেকে মন সরাতে না পারলে কেন শুনবে তার কথা। কি করে বিক্রি হবে প্রোডাক্ট ? কি করে চলবে সংসার? তাই তার এরকম হটাৎ আওয়াজ শুনে মানুষ তাকায় তার দিকে। বাধ্য হয় শুনতে। কিছু বিক্রি ও হয়।
কিন্তু তাতেও সে ভাবে সংসার চলে না। তবু হাসিমুখে একই ভাবে প্রতিদিন মানুষকে আকর্ষণ করে অল্প পয়সার প্রোডাক্ট বিক্রি করেই সংসার চালান তপন বাবু।
তপন বাবুর কথায়…শীতের ভোর অথবা গরমের দুপুর বা বৃষ্টি… বাস এলেই বাসের দরজায় পৌঁছান তিনি। কেউ দেখেন কেউ বা মুখ ফিরিয়ে নেন। এখন আর সে বাজার নেই অনলাইনের কৃপায়। তিনি তার কথাতেও বলেন ..কেউ কারোর জন্য কিছু ই করে না। ঢপেচলচর সব কিছু। তবু চিৎকার। ক্লান্তি অনুভূত হয় না তার। ক্লান্ত হলেই তো সংসারে পড়বে টান। তাই ক্লান্তি তার কাছে ম্লান। আবার যে জামা শরীরে পরে থাকেন তাতে ঝোলে প্রায় 45 রকমের প্রোডাক্ট। শুধু তাই নয় …দুটো হাত প্রায় বন্ধ। হাতেও ঝোলে রুমাল গামছা থেকে শুরু করে আরো কত কি ? শরীর টা যেন রোবট। শুধু চলে আর কথা বলে। যেন এ ভাবেই পর হয় জীবনটা। লড়াই চলবে। এমনটাই বক্তব্য তার।

