STAMPED : FIR..against 10 including jitendra & chaitali tiwari
Stamped : জিতেন্দ্র চৈতালি সহ 10 জনের নামে এফ আই আর
যতই সময় যাচ্ছে ততই যেন কম্বল বিতরণ কান্ড রাজনৈতিক পারদ ছড়াচ্ছে। বুধবার বিকেলে আসানসোলের 27 নম্বর ওয়ার্ডে কম্বল বিতরণ শুরু করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পর তিনি চলে যাবার পর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কম্বল নেবার লক্ষ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায় । তাতেই পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয় এক নাবালিকা সহ আরো দুই মহিলার।
তারা কম্বল নিতে এসেছিল। কেউ পেয়েছেন কেউ বা পায়নি। কেউ জীবন হাতে করে পালিয়েছেন। কারোর চটি হারিয়েছে, কারোর চাদর। কানের ও হারিয়েছে অনেকের। 200 বা 300 টাকার কম্বলের কারণে চলে গেছে তিন তিনটে প্রাণ।
দেখুন….VIRAL VIDEO
আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসক দলের নেতাদের কথায়…জালিয়ান ওয়ালা বাগের মত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ভুল বুঝিয়ে মানুষ কে নিয়ে আসা হয়েছে। জায়গা কম ছিল। মানুষকে লোভ দেখাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনা হয়েছে।
বিরোধী শিবির আঙ্গুল তুলেছিল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছিলেন..পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয় নি। আবার উদ্যোগতা রা জানিয়েছিলেন তারা ইন্টিমেশান দিয়েছিলেন পুলিশ কে।
ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নামে। প্রাক্তন মেয়র বর্তমানের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারী সহ তার পত্নী চৈতালি তেওয়ারী, অমিত তুলসিয়ান, গৌরব গুপ্তা সহ মোট 10 জনের নামে মামলা দায়ের হয়। ছয় জনকে বুধবার আদালতে তোলা হয়।
বিরোধী শিবিরের নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারী বলেন…দুর্ঘটনা মর্মান্তিক। এ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। যারা করছেন তারা ঠিক করছেন না। তবে যেহেতু বিরোধী তাই ফেস করতেই হবে।
অপর দিকে আসানসোলে মিছিল বের করে শাসক দল। তাদের কথায় গণহত্যার কথা উঠে এসেছে। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে আসানসোলের এই ঘটনা।
পড়ুন…কেন এমন ঘটনা
মৃত দের পরিবার কে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে 2 লক্ষ করে ও আহত দের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেক কে 50000 টাকা করে সাহায্য করা হয়েছে।
প্ৰশ্ন উঠেছে …দায় কার ?
সে নিয়েও তরজা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন জায়গা ছোট। লোকসংখ্যা অধিক। কেউ বলছেন ..কম্বল কম। লোক বেশি। কেউ বলছেন…বিরোধী দলনেতা বেরিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্ব দের বেরিয়ে যাবার কারণেই এমন ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হীন হয়ে পরে ছিল এলাকা।
তবে এলাকাবাসীর কথায়..এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। দাতা থেকে গ্রহীতা..সকলের ই সাবধান হওয়া উচিত। কম্বল নিতে গিয়ে চাদর হারানো বা চটি হারানো তো দূরের কথা..প্রাণ হারিয়ে যাওয়া খুবই মর্মান্তিক।

