POLICE ;সোশ্যাল সাইটে পোস্ট হল ডিলিট ও হল…এড়ানো গেল না বারাবনী থানার নজর…ভিডিও দেখুন 👇
একটি আঙ্গুল আর একটু ছোঁয়া বিপদে ফেলছে একের পর এক যুবক কে। একটি পোস্ট বা একটি শেয়ারে কেউ মার খাচ্ছে আবার কারোর জেল হচ্ছে। টাচ স্ক্রিনের যুগে শুধু ছুঁয়ে দিলেই যেন বিশাল জয় মনে করছে যুব সমাজ। একটি আঙুলের আলতো ছোয়ায় কত বড় বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে তারা ..তা বুঝছে শাস্তি হবার পরে।বারাবনীর ঘটনা ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা বলবে আদালত , প্রশাসন। তবে আঙুলের আলতো ছোঁয়া তো লেগেছে সেটা স্বীকার করছেন সকলেই।
পড়ুন…কি হয়েছিল আঙুলের ছোঁয়ায়
যুদ্ধের আবহে কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে তথ্য দপ্তর সবাই মানুষকে সচেতন করছে যে সোশ্যাল সাইটে কোনো রকম বিতর্কিত পোস্ট করা চলবে না। চলবে না দেশ বিরোধী কার্য কলাপের পোস্ট। সেনাদের গতিবিধি এর ভিডিও ছবি ভাইরাল করা যাবে না। এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না যাতে শত্রু পক্ষের সুবিধা হয়। তবে উক্ত নিয়ম কানুন গুলি শুধু মাত্র যুদ্ধের আবহে ই নয়। কোনো সময়েই এই পোস্ট গুলি করা চলে না।
কিন্তু এত কিছুর পরেও বেশ কয়েক জায়গা থেকে এ রকম পোস্টের খবর ছড়িয়ে পড়ছে। কোথাও পোস্ট কে ঘিরে মারামারি কোথাও পোস্ট কে ঘিরে বিভাজন তৈরি হচ্ছে। যদিও পুলিশ প্রশাসন পুরো বিষয়টি তেই তৎপর। তার প্রমান দিল আসানসোলের বারাবনি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর গত সোমবার একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। আবার সেই পোস্ট ডিলিট ও হয়ে যায়। কিন্তু পোস্ট হবার খবর নজর এড়াতে পারেনি বারাবনি থানার আধিকারিকের। নিমেষের মধ্যে বারাবনি থানার গাড়ি পৌঁছায় পুঁচড়া পঞ্চায়েতের মদনপুর গ্রামে। গ্রেপ্তার করা হয় শরীফ মির নামে এক যুবক কে। পুলিশ সূত্রে খবর পোস্ট টি তে দেশ বিরোধী কাজকর্ম ও জাতীয় পতাকার অবমাননার বিষয় ছিল। মঙ্গল বার আসানসোল আদালতে বিচারক সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পড়ুন…গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের আইনজীবী কি বলছেন
যদিও গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের আইনজীবী শেখ মঈনুদ্দিন জানান…বিষয়টা ইচ্ছাকৃত নয়। ভুলবশত হয়ে গেছে। তদন্ত চলছে। যুবক খুব সাধারণ এবং এক প্রকারের বেকার। অশিক্ষিত। এমন ও হতে পারে বন্ধু বান্ধব করিয়ে দিয়েছে। সবটাই বিচারাধীন।
বর্তমান সময়ে হাতে হাতে ঘুরছে এন্ড্রয়েড মোবাইল। ফেসবুক ওয়াটস আপ হাতে হাতে। সামান্য শিক্ষা গত যোগ্যতা না থাকলেও মোবাইল চালাতে শিক্ষিত হয়ে উঠেছে অনেকেই। যে কারণে কোন সময়ে কি নির্দেশ আসছে তা জানার ক্ষমতা নেই সেই সমস্ত মোবাইল চালক দের।
দেশ যখন লড়াইয়ের মাঠে। সমস্ত সরকার যখন একত্রিত হয়ে শত্রু দেশের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিচ্ছে সে সময় এই সমস্ত পোস্ট দেশের সেনাদের মনোবল দুর্বল করবে বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। দেশ বাসী হয়ে দেশের কথা ই বলতে হবে …দেশের ভালো রাজ্যের ভালো ভাবতে হবে এমনটাই বলছেন আম জনতা।

