মাঙ্কি পক্স ( Monkeypox ) কি ? আদৌ কি করোনার মত ভাইরাস ? কি ভাবে ছড়াতে পারে এই রোগ ? কত টা ক্ষতিকর হতে পারে এই ভাইরাস ? কি বলছে বিশেষজ্ঞ রা? মূলত মাঙ্কি পক্স হল একটি নতুন ভাইরাল সংক্রমণ। যা সারা শরীরে ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। দেখলে মনে হবে যেনও ফোস্কা পড়েছে। করোনা ভাইরাস চলাকালীন এই নতুন সংক্রমণ ভারত-সহ সারা বিশ্বকেই আশঙ্কা ফেলেছে। নতুন এই ভাইরাল পক্স, সারা পৃথিবীর বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের মুখে ফেলেছে। তবে মাঙ্কি পক্স এবং করোনা ভাইরাস , এক না আলাদা জেনে নেওয়া যাক এক নজরে।
কী বলছেন হু-র বিশেষজ্ঞরা ?
ডব্লু এইচও-র মতে, ১৩ মে থেকে ১২ টি রাষ্ট্র থেকে মাঙ্কি পক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা রিপোর্টে আনা হয়েছে, সেগুলি সংক্রমণের স্থানীয় অঞ্চলের আওতায় আসে না।এই রাষ্ট্র গুলির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস এবং পর্তুগাল। সূত্রের খবর, ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাপী প্রায় ২১৯টি ল্যাব নিশ্চিত, যে মাঙ্কিপক্স কেস রয়েছে। হু-র বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের ঘটনা বাড়বে। তবে এটি করোনা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে নাও পড়তে পারে। সে রকম কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তাহলে ঠিক কোথায় এই দুই সংক্রমণ একে অপরের থেকে আলাদা।
Monkeypox : কোন প্রাণী কামড়ালে মাঙ্কি পক্স হতে পারে
Phalaharini Kali Puja : মা ঘাঘর বুড়ি মঙ্গল করুক সবার
আরও পড়ুন, সমকামী পুরুষরাই কি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হচ্ছে? স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি কিন্তু তেমনই জানাচ্ছে
মাঙ্কি পক্স এবং করোনাভাইরাস, কোথায় এরা একে অপরের থেকে আলাদা, জানতে হলে আগে মাঙ্কিপক্স নিয়ে একটা পরিস্কার ধারণ পাওয়া যাক। মাঙ্কি পক্স হল, একটি জু-নোটিক রোগ, যা মূলত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়েছে। যা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ অর্থপক্সভাইরাস সংক্রমণ হয়ে উঠেছে। এই ভাইরাসটি পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার মতো, স্থানীয় অঞ্চলে বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সঞ্চালনের মাধ্যমে উপস্থিত থাকে। মাঝে মাঝে তা মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। ভাইরাসটি ওই প্রাণী কামড়ে দিলে বা তার সংক্রামিত রক্ত বা শারীরিক তরল বা ত্বকের ক্ষত বা শ্বাসের এই নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে কিছু বাহক প্রাণী হল বানর, ইদুর, কাঠবেড়ালি, কুকর হতে পারে।
করোনাভাইরাস কি ? এখন অবধি সারাবিশ্বে ৬২.৮ লক্ষ মানুষের মৃত্যু
অপরদিকে করোনা ভাইরাস হল একটি সংক্রমক রোগ। যা মারাত্বক ভাবে ফুসফুসের উপর প্রভাব ফেলে। প্রথমে শ্বাসনালি এবং ধীরে ধীরে তা শ্বাসযন্ত্রের উপর ছড়িয়ে পড়ে শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই ভাইরাসের এতটাই দাপট, যা ১৯ সালে মহামারি তৈরি করে এখন থামেনি। তিন কোভিড বর্ষ চলে গেলেও এখনও ভারতের মানুষ চতু্র্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় রয়েছে। ২০২২ সালের ২৬ মে অবধি গোটা বিশ্বে ৬২.৮ লক্ষ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যা ২০১৮ সালের পর এটিকে সবথেকে উল্লেখযোগ্য মহামারিতে পরিণত হয়েছে। যদিও বিশ্বজুড়েই এখন ভ্যাকসিনেশন চলছে, তবুও থামেনি করোনার চোখ রাঙানি।

