বাঁদরের বাঁদরামি। হনুমান ধরতে এম এল এর কাছে ছোটাছুটি। কাউন্সিলর এর কাছে তদবির। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আর্জি। কি না হচ্ছে। প্রায় 2 মাস ধরে এমন ঘটনা ঘটছে। আছে অনেক বাঁদর। একটা ক্ষেপেছে। আর ওই একটা তেই মাতিয়ে দিয়েছে এলাকা। আতঙ্কিত এলাকাবাসী কখনো বিধায়কের দরবারে পৌঁছেছে। আবার কখনো কাউন্সিলর এর দরজায়। পুলিশ প্রশাসন কে তো বলা হয়েছে ই। আর বন দপ্তর। আসছে আর কলা খাওয়াচ্ছে। বাঁদর এর বাঁদরামি চলছেই।
বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না শিশুরা। স্কুল যেতে আতংক তৈরি হয়েছে। আর কাছে যারা বেরোচ্ছে…সবার ই হাতে লাঠি। কখনো কখনো বাড়িতেও চলে আসছে। এমনটাই ঘটছে আসানসোলের জামুড়িয়ার চাঁদা এলাকায়। বাধ্য হয়েই রাস্তা অবরোধ করেছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবার সকালে রাস্তা অবরোধ । শামিল এলাকার আবাল বৃদ্ধ বনিতা।
পড়ুন কেন রাস্তা অবরোধ
এলাকাবাসীর কথায় প্রায় 100 মানুষকে এখনো জখম করেছে বাঁদর টি। বাঁদর অনেক আছে। একটাই ক্ষেপেছে। প্রশাসন কে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে। বন দপ্তরের লোক আসছে। কলা খাওয়াচ্ছে আবার চলে যাচ্ছে। বাঁদর তার নিজের মেজাজেই আছে। লোক এলেই গাছের ডালে উঠে যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই কামড়ে দিচ্ছে। বীতশ্রদ্ধ এলাকার মানুষ বলছে…বন দপ্তরের কর্মীরা মোটেও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয়। 2 মাস ধরে একটা বাঁদর ধরতে পারছে না। ছুটে বেড়াচ্ছে তার পিছনে।
Monkey dance বাঁদর ধরতে বিধায়ক কাউন্সিলরের কাছে..অবরোধ
বাঁদর ধরার জন্য তারা স্থানীয় বিধায়ক এর কাছে গেছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর এর কাছে গেছিলেন। তবু কিছু হয়নি। বাধ্য হয়ে ই রাস্তা অবরোধ করছেন না। প্রসঙ্গত, এলাকায় পানীয় জল, রাস্তা ঘাটের খারাপ অবস্থা অথবা বিদ্যুৎ না থাকার করবে অবরোধ দেখতে পাওয়া যায়।
দেখুন..বাঁদর ধরতে বিধায়ক কাউন্সিলরের কাছে
আবার বিভিন্ন সমস্যার কারণে মানুষকে বিধায়ক বা কাউন্সিলরের কাছে দাবি জানাতে দেখা যায়। তবে বাঁদর ধরতে হবে…এমন দাবিতে বিধায়ক, কাউন্সিলর বা রাস্তা অবরোধ যে সমাজে এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

