MAYOR : exclusive MAYOR regarding FOOTPATH and cleaning
ফুটপাথ সরানো হবে …নতুন ব্যবস্থা করা হবে ..তবে পুজোর আগে নয়..প্রক্রিয়া তৈরি …সহযোগিতার আবেদন মেয়রের

আসানসোল শহর পরিষ্কার রাখতে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় এর কড়া পদক্ষেপ। সূত্রের খবর…34 বছরের বাম শাসনে একবার প্রচেষ্টা করলেও তা বাস্তবে রূপ পায়নি।
বেশ কিছুদিন ধরে আসানসোল শহর কে সুন্দর ও জঞ্জাল মুক্ত করতে পথে নেমেছে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। পায়ে হেটে এলাকা পরিদর্শন করে দোকানি দের জঞ্জাল রাস্তায় ফেলতে মানা করেছেন। নির্মাতা দের নির্মাণের সামগ্রী রাস্তার পাশ থেকে সরিয়ে নিতে বলেছেন।

এবার বললেন আসানসোল বাজারের ফুটপাথের কথা।
দেখুন…কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মেয়র
মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান..আসানসোল বাজারের ফুটপাথে যথেষ্ট যানজট এর সৃষ্টি হচ্ছে। ময়লা ও হচ্ছে। বাইরে থেকে লোক আসতে চাইছে না। পুজোর সময় প্রচুর লোক বাইরে থেকে আসছে। সে জায়গায় এই পরিস্থিতি কোনো মতেই কাম্য নয়। তবে এই মুহূর্তে ফুটপাথ জঞ্জাল বা যানজট মুক্ত করতে গেলে দোকানিদের ওপর প্রভাব পড়বে। সে কারণেই পুজোর পর ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হবে। তবে দোকানিদের সরিয়ে দেওয়া হবে না। উক্ত এলাকা তে রাস্তা চওড়া করে দোকানিদের একটা নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে যেমন কলকাতা তে আছে। এর জন্য 4 কোটির ও বেশি টাকার ডি পি আর পাঠানো হয় গেছে। পুজোর পরেই কাজ শুরু হবে।

যদিও পথ চলতি মানুষদের দাবি…ফুটপাথে দোকান থাকার কারণে আসা যাওয়ার যথেষ্ট অসুবিধা হয়। উৎসবের মরসুমে ধাক্কাধাক্কি ও হয়। কিন্তু এই সব দোকানিদের পেট চলবে কি ভাবে ? সে বিষয় ভেবে ফুটপাথ দখল মুক্ত করলে ভালো হয়।
পড়ুন… সহযোগিতার অভাব হবে না…দোকানি
আবার অস্থায়ী দোকানিদের দাবি…অসহযোগিতার প্রশ্ন নেই। কর্পোরেশন বা মেয়র যদি এমন উদ্যোগ নেন তবে তা ভালো। কিন্তু এমন জায়গায় দোকানিদের ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে ক্রেতা রা আসে। বাস স্ট্যান্ড বা জনবহুল এলাকার বাইরে করে দিলে তা সম্ভব নয়। অর্থাৎ সেদিক বিচার করে যদি ব্যবস্থা করা হ্যবতাহলে সকল ব্যবসায়ী রা সাহায্য করবে।
যদিও স্থায়ী দোকানিদের কথায়…আসানসোল বাজারের এমন অবস্থা হয়েছে যে এবার ক্রেতা দের ড্রোনে করে বাজারে আসতে আবার বাজার করে ড্রোনে করে ফিরে যেতে হবে। কারন এমন ভাবে ফুটপাথ দখল হয়েছে যে মানুষের চলার জায়গা নেই।
সব মিলিয়ে মেয়রের চিন্তা ভাবনা কে সাধুবাদ জানিয়েছেন অস্থায়ী দোকানদার থেকে স্থায়ী দোকানদার সকলেই। তবে দাবি একটাই যে সবার ই সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।

