Love : Return of blind love and faith..Durgapur ledy
অন্ধ বিশ্বাস যখন বিশ্বাসের পথ বন্ধ করে, অন্ধ ভালোবাসা যখন বিশ্বাস ঘাতকতায় পরিণত হয়, লোভ আর মোহ কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে তা দুর্গাপুরের যুবতী প্রমান করতে পারে।
পালিত কন্যাকে বিশ্বাস করাটাই কাল হলো পরিবারের। শেষে কিনা বান্ধবীকে নিয়ে সেই পালিত কন্যা বাড়ির সোনা গহনা নগদ টাকা চুরি করলো। দুর্গাপুর থানার পুলিশের জালে সেই পালিত কন্যা ও তার বন্ধু।পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার সোনা গহনা নগদ টাকা। রোমহর্ষক ঘটনা দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টারের বুকে।
পড়ুন…কি হয়েছিল
চুরির দায়ে গ্রেপ্তার বাড়ির পালিত কন্যা ও তার এক বন্ধু। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকার এই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে আরো তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকে সঞ্জীব খা নামে এক ইঞ্জিনিয়ার। দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারে থাকেন সঞ্জীব বাবুর স্ত্রী মা আর বাবা। মাত্র ১১ বছর বয়সে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন দীপা শর্মাকে, দীপাকে দামি মোবাইল কিনে দেওয়া থেকে শুরু করে বাড়ির সব কিছু খুশি দিয়েছিলো এই পরিবার। দেখতে দেখতে সেই ছোট্ট মেয়ে বড় হয়, মাত্র ২২ বছর বয়সে সেই পালিত কন্যা আসল রূপ ধরে,বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ভিন রাজ্যের এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে বাড়ির আলমারি থেকে ২৫ ভরি সোনার গহনা, ১ কেজি রুপোর অলংকার,ও আড়াই লক্ষ টাকা নগদ চুরি করে এক বান্ধবীর সাথে।
দেখুন ভিডিও
গত বৃহস্পতিবার বাড়ির মালিক সঞ্জীব বাবুর স্ত্রী বাড়ির বাইরে কাজে গিয়েছিলেন বাড়ি ফিরে দেখেন সব লন্ডভন্ড অগোছালো, পালিত কন্যাকে জিগ্যেস করেন কেউ বাড়িতে এসেছিলো কিনা, কিন্তু পালিত কন্যা দীপা শর্মা বলেন না কেউ আসেনি। এরপর আলমারি খুলতেই চক্ষু চরক গাছ, ধরা পড়ে চুরির ঘটনা, দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়, এরপর পুলিশ বাড়ির পালিত কন্যা দীপা শর্মাকে পুলিশ আটক করে, চলে ৱ্যান্ডোম জিজ্ঞাসাবাদ, দীপার মোবাইল কল লিস্ট চেক করে এরপর পুলিশ দীপা যাদৰ নামে একজনের নম্বর পায়, মোবাইল ট্রাকারে দেখা যায় এই দীপা যাদব দুর্গাপুর স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্ম এ আছে। সাথে সাথে পুলিশ দুর্গাপুর স্টেশনে গিয়ে ট্রলি ব্যাগ সহ দীপা যাদবকে আটক করে নিয়ে আসে থানায়, উদ্ধার হয় সমস্ত গয়না নগদ টাকা। এরপর বাড়ির পালিত কন্যা দীপা শর্মা ও তার বান্ধবী দীপা যাদবকে দুর্গাপুর থানা গ্রেপ্তার করে মহকুমা আদালতে তোলে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্ত জানান, ধৃতদের জেরা করে পুলিশ আরো তথ্য জানার চেষ্টা করছে। তাহলে কি পালিত কন্যা কে বিশ্বাস করাটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো দুর্গাপুরের সঞ্জীব খায়ের পরিবারের????

