Exclusive live LANDSLIDE at coal mine
শিল্পাঞ্চলে ধসের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে রবিবার সকালে আসানসোলের কুলটি থানা অন্তর্গত দামাগরিয়া খোলামুখ কয়লা খনির বরীরা এলাকায় কয়লাখনির এক অংশ ধসে পড়ল চোখের সামনেই। যে ছবি আমরা দেখাচ্ছি। কেউ বলছেন চাপা পরে আছে বেশ কিছু
LIVE.. LANDSLIDE at coal mine..EXCLUSIVELIVE.. চোখের সামনে ধসে গেল..নো ক্যাজুয়ালিটি : জানাল পুলিশ
অবৈধ কয়লা উত্তোলনকারী। কেউ বলছেন সে রম কিছু হয় নি। বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছেন। আর আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন ..নো ক্যাজুয়ালিটি।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। এলাকাবাসীর মতে প্রতিদিন ই বহু মানুষ উক্ত বৈধ কয়লাখনি তে অবৈধ ভাবে কয়লা কাটতে ও কয়লা তুলতে যায়। প্রায় 300 ফুট নিচ থেকে কয়লা তুলে আনে মতলে। সেখানে বস্তাবন্দি কয়লা সাইকেল বা স্কুটারে করে পাচার হয়ে যায়। সম্পুর্ন ঘটনা ঘটে প্রকাশ্য দিবালোকে। ঠিক সে রকম ই আজ ও তারা কয়লা তুলতে গেছিলেন এবং হটাৎ ধস নামে।
উক্ত এলাকা অর্থাৎ আসানসোল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের 17 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর জানান..যে তিনি খনি কর্তৃপক্ষ কে বহুবার জানিয়েছেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। অবাধে কয়লা চুরি তো হচ্ছেই সঙ্গে বৈধ খনিতে rat whole করে কয়লা কাটায় ধস নামছে। মানুষের জীবন যাচ্ছে। এলাকা বিপদগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি এও অভিযোগ করেন ..খনি কর্তৃপক্ষের একাংশ, সি আই এস এফ, পুলিশ ও শাসক দলের নেতাদের সিন্ডিকেট এ এই অবৈধ কাজ চলছে।
পড়ুন..কি বলছেন তৃণমূল নেত্রী
অপর দিকে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের এম আই সি তথা তৃণমূল নেত্রী সব অভিযোগটি চাপিয়ে দিয়েছেন বিজেপির ওপর। তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার বিজেপির, সিআইএস এফ বিজেপির, ওয়ার্ড টাও বিজেপির। কার স্বার্থে কাকে খুশি করার কারণে এই অবৈধ কারবার চালানো হচ্ছে ? তিনি নিজের উদ্যেশ্যে বলেন …তিনি কি গার্ড দেবেন কলিয়ারী ?
ঘটনার খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান সি আই এস এফ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চ আধিকারিক রা। কমিশনারেটের ডি সি সেন্ট্রাল জানান…ধস হয়েছে। তবে কোনো ক্যাজুয়ালিটি নেই। পুলিশ আসে পাশের গ্রামের খোঁজ খবর নিয়েছে । কোনো ক্যাজুয়ালিটি র খবর নেই।
প্রসঙ্গত, সকাল থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরেও কিন্তু অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলন বা পরিবহনের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে নেতা নেত্রী বা আধিকারিকের সামনেই। প্রশ্ন উঠেছে..কয়লা কাণ্ডে সিবিআই ইডি এর তদন্তে যখন তোলপাড় দেশ, একের পর এক কয়লাখনির প্রাক্তন ও বর্তমান জি এম দের জেল যেতে হয়েছে..জেল যেতে হয়েছে নিরাপত্তার আধিকারিকদের, তারপরেও কি ভাবে চলছে এই ব্যবসা ?
দেখুন…কি ভাবে হচ্ছে লুট 👆
কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের কথায়..বার বার রাজ্য পুলিশের কাছে এফ আই আর করার পরেও কোনো লাভ হয় না। কারণ কয়লা পরিবহন হয় রাজ্য প্রশাসনের এলাকা দিয়ে। আবার রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রশ্ন ওঠে..কয়লাখনির নিজস্ব এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী থাকার পরেও কি করে খনি থেকে কয়লা লুট হয়। আর কেন্দ্র রাজ্য এর দোলাচলে লুট হয় জাতীয় সম্পত্তি। বিপদগ্রস্ত হয় এলাকার মানুষ। এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এখন দেখার …কি ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন।

