Ex MINISTER will change the stream after political dispute?Banso become HARADHAN politically ?
বাম জমানার তরুণ তুর্কি নেতা বংশ গোপাল চৌধুরী। সূত্রের খবর রাজনীতির অহংকার হারাধন রায়ের হাত ধরে উত্থান ছাত্রনেতা থেকে। একসময়ের সাংসদ আবার মন্ত্রী ও। দীর্ঘ বাম জামানায় একচেটিয়া রাজনৈতিক উন্নতির প্রায় শিখর ছুঁয়ে ফেলেছিলেন বংশ গোপাল চৌধুরী। রানীগঞ্জ থেকে গোটা রাজ্য। সর্বত্রই সাংসদ বা মন্ত্রির নাম। সিপিআইএম এর ঘরের ছেলে আজ দলের বাইরে। বাম জমানার পরিবর্তন হলেও তৃণমূল জমানায় ও তাঁকে দেখা গেছে বাম রাজনীতি কে আঁকড়ে ধরে থাকতে। শ্রমিক স্বার্থে মেহনতি মানুষের সাথে আন্দোলনে পথে হাঁটতে।
পড়ুন….প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী কোনদলে ? বিস্ফোরক বংশ কি পঙ্কজের অনুসরণে নাকি পার্টির কাছে হারাধন ?
কিন্তু হঠাৎ যেন বাজ পড়ল। দল থেকে বহিস্কার করা হল বংশ গোপাল চৌধুরী কে।
বহিষ্কারের কারন অজানা কারোর নয়।
কিন্তু প্রশ্ন দাঁড়িয়ে আছে বহিষ্কারের পর বংশ বাবুর সাংবাদিক সম্মেলনে। কি ইঙ্গিত দিলেন তিনি ? উঠে এল তাঁর কথাতেই।
বংশ বাবুর দাবি…তার বিরুদ্ধে এই কান্ড ঘটিয়েছে তার দলের একাংশ। তার দলের একাংশ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে গোপনীয়তার সঙ্গে। কাটমানি খাচ্ছে বিজেপির কাছে। শুধু তাই নয় …কয়লা সহ বিভিন্ন কল কারখানাতে সিন্ডিকেটে যুক্ত রয়েছে তার দলের একাংশ। এই সব বিষয়ে বংশ বাবুর অভ্যন্তরীণ প্রতিবাদ হয়ত ঘটনার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভিডিও দেখুন 👇
তিনি দাবি করেন …এর আগেও কলকাতায় পার্টি অফিসে এক মহিলাকে পাঠিয়ে তাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ নেতৃত্ব তা মানতে রাজি হন নি।
মাত্র কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরের দাপুটে নেতা পঙ্কজ বাবু দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তখনও নাকি রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে বংশ বাবু আগে পঙ্কজ বাবু কে পাঠিয়ে পরে নিজে যাবেন বলে বংশ বাবুর দাবি।
দল বদলের বিষয়ে বংশ বাবু জানান…তিনি এ সব কিছু ই ভাবছেন না। তার সঙ্গে সিপিএম, কংগ্রেস, নকশাল, তৃণমূল, শ্রমিক সংগঠন সকলের সঙ্গেই সদ্ভাব রয়েছে। যদিও বিজেপি কে তার সদ্ভাবের তালিকাতে রাখেন নি তিনি।
তিনি এও দাবি করেন…সরকারে আসার পর তৃণমূল তাকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কিন্তু এ ভাবে আক্রমণ করে নি বা এ রকম নোংরামি করেনি যেমন তার দলের লোকেরা করেছে।
প্রশ্ন উঠছে…রাজ্যে শাসক দল আর বিরোধী দলের রাজনৈতিক লড়াই এই মুহূর্তে তুঙ্গে। সামনেই নির্বাচন। সেই জায়গায় বংশ বাবুর কথায় স্পষ্ট যে তার দলের একাংশ বিজেপির সঙ্গে দুর্নীতিতে যুক্ত। ফলে নিশ্চই তিনি সেদিকে তাকাবেন না। আর শাসক দল তার সাথে কখনো এরকম আক্রমণ বা নোংরামি করে নি। ফলে এই মুহূর্তে তার কাছে শাসক দল আপার হ্যান্ড এ রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে পঙ্কজ বাবুর দল বদলের পর যথেষ্ট রাজনৈতিক উন্নতি হয়েছে। সেই জায়গায় একসময়ের বংশ বাবুর রাজনৈতিক সঙ্গী ছিলেন পঙ্কজ বাবু।
অপর দিকে…এই সময়ে রানীগঞ্জ এলাকায় শাসক দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব শাসক দলের জেলা তথা রাজ্য নেতৃত্বের চোখে কিছুটা হলেও দূরে রয়েছেন। সে জায়গায় শ্রমিক মহলে বংশ বাবুর পরিচিতি যথেষ্ট। বিশেষত রানীগঞ্জ খনি অঞ্চল। সেখানে খেটে খাওয়া মানুষ এর সংখ্যা অনেকটাই। সেই জায়গায় কেন্দ্রীয় সংস্থাতেও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বংশ বাবুর ভালোই যোগাযোগ আছে বলে রাজনৈতিক মহলের খবর।
ফলে…বংশ বাবু পঙ্কজ বাবুর পথ অনুসরণ করতে পারেন বলে মনে করছে রাজনীতির মহল।
আবার বেশ কিছু মহলের মতে…চিত্রনাট্য মনে করিয়ে দিচ্ছে শ্রমিক নেতা হারাধন রায় এর মত। ফলে স্রোতের অনুকূলে না গেলে হারাধন রায় এর রাজনৈতিক জীবন ফিরে আসবে না তো !
আবার রাজনৈতিক মহলের মতে…তন্ময় বাবুর মত শাস্তি মুকুবের আশায় নেই তো বংশ বাবু।
তবে শিল্পাঞ্চলের আনাচে কানাচে একটাই প্রশ্ন…তথাকথিত দাপুটে নেতার কোন ফুলে রাগ আর কোন ফুলে প্রেম ? এখন ?
যদিও ইতিহাস বলে রাজনীতির ময়দানে স্থায়ী বলে কিছু হয় না। এ রকম প্রচুর উদাহরণ রয়েছে রাজনৈতিক ইতিহাসে। তবে এই মুহূর্তে রাজনীতিক পরিবর্তন ঘটবে কি না বহিষ্কৃত নেতার ক্ষেত্রে তা বলা দুস্কর। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে এমন ঘটনা আগেও যে ঘটেনি তা নয়। তবে এখন অহ রহ নেতাদের দল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কেউ বহিষ্কারের পর তার ক্ষোভ তুলে ধরেন আবার কেউ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এমন ভাবে করেন যে দল তাকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয়। বহিষ্কারের কারন বড় প্রশ্নের থেকেও বহিষ্কারের পর রাজনৈতিক পালা বদল টাই বড় হয়ে ওঠে বলে মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দের।

